ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় সাতক্ষীরা উপকূলে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম শুরু করেছে প্রশাসন। রোববার (২৩ মে) বিকেল ৫টা থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে একযোগে এ প্রচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম আবুজর গিফারী। 

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক যেকোনো দুর্যোগ আঘাত হানে শ্যামনগর উপজেলায়। কেননা, এটি দেশের শেষ প্রান্তের উপকূলীয় অঞ্চল। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নিয়ে মিটিং করা হয়েছে। ঝড় মোকাবিলায় তাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরও বলেন, উপজেলায় ১০৩টি সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে যেন একটি প্রাণহানির ঘটনাও না ঘটে সেজন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি থাকবে। উপজেলার কত মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রস্তুতি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের জগিরনগর সিদ্দিকিয়া মাদরাসা ও পদ্মপুকুর বিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাইক্লোন শেল্টারের উদ্বোধন করেছেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাইক্লোন শেল্টার দুটি উদ্বোধন করা হয়েছে।

অন্যদিকে, বিকেলে সাতক্ষীরা সদরসহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়, বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিড়ে গায়ে পড়ে ও বজ্রপাতে দুইজন নিহত হয়েছেন। তবে এ ঝড় বৃষ্টিকে ইয়াস ঝড়ের প্রভাব বলছেন না আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে উপকূলীয় শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম জানান, একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ
অঞ্চলের মানুষ আজ সর্বশান্ত। গত বছর আম্ফান ঝড় হয়ে গেল। এ বছর ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আঘাত হানবে। মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ঝড় হলেও যদি জলোচ্ছ্বাস না হয় তবে মানুষগুলোর কিছুটা রক্ষা হবে। জলোচ্ছ্বাস হলে বাঁধ ভেঙে মানুষের শেষ রক্ষা হবে না।

আকরামুল/এমএএস