চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও গোমস্তাপুর উপজেলায় বজ্রপাতে শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এক কৃষক গুরুতর আহত হয়েছেন এবং ২টি মহিষ মারা গেছে। সোমবার (২৪ মে) দুপুর ও বিকেলে এসব ঘটনা ঘটে।

দুপুর আড়াইটার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার হরমা এলাকায় মহিষ আনতে গেলে বজ্রপাতে রবিউল ইসলাম নামে একজন মারা যান।

এ সময় তার বাবা একরামুল হক গুরুতর আহত হন। তাকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের সাবানিয়া এলাকায় লিচু কুড়াতে গেলে বজ্রপাতে আল-আমিন নামে এক কিশোর মারা যায়। আল-আমিন সুন্দরপুর ইউনিয়নের সাবানিয়া এলাকার শরিফুল ইসলামের ছেলে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুপুরে বজ্রপাতে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। লাশ হস্তান্তরসহ পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস জানান, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বজ্রপাতে শাহিদা আখতার নামে এক কিশোরী মারা যায়। শাহিদা গোমস্তাপুরের নসিবন্দিনগর গ্রামের নাজমুল হোসেনের মেয়ে। আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হয় সে। এদিকে উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের হুজরাপুর গ্রামে বজ্রপাতে ১০ বছরের এক শিশু মারা গেছে।

তিনি বলেন, দুপুরে লিলি খাতুন খুশি নামে ১০ বছরের ঐ শিশুর মৃত্যু হয়। নিহত শিশু রহনপুর ইউনিয়নের হুজরাপুর গ্রামের বিপ্লব আলির মেয়ে।

জাহাঙ্গীর আলম/এমএসআর/জেএস