উপকূলের ৩ সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি
শরণখোলায় ভোলা নদীতীরবর্তী পাঁচটি গ্রামের তিন সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাগেরহাটের শরণখোলায় ভোলা নদীতীরবর্তী পাঁচটি গ্রামের তিন সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) রাতের বৃষ্টি ও সকালের জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা এসব গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
অনেক পরিবারের বসতঘর, রান্নাঘরসহ সব জায়গা পানিতে থই থই করছে। এসব মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
খুড়িয়াখালী গ্রামের মো. ইদ্রিস খলিফা, ছগির মল্লিক, জাফর শেখ বলেন, রাতেও বুঝতে পারিনি এতো পানি হবে। সকাল ৮টার দিকে পানি এসে আমাদের বাড়িঘর তলিয়ে যায়। সবাইকে নিয়ে রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছি। ভাটিতে পানি কমলে বাড়ি যাব। না হয় রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হবে।
বিজ্ঞাপন
চরগ্রামের জলিল গুরু ও সাইদুল শিকদার বলেন, বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতিটি ঝড়েই আমাদের ডুবতে হয়। মূল্যবান মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। সকালের হঠাৎ পানিতে চরগ্রামের সবার বাড়ি ঘর তলিয়ে গেছে।
শরণখোলা গ্রামের সরোয়ার শেখ বলেন, রাতের বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ভোলা নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। সকালের জোয়ারে বাড়িঘর সব তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু মুন্সি বলেন, ইয়াসের ফলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আশপাশের পাঁচটি গ্রামের অন্তত ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকের রান্নাও বন্ধ রয়েছে। নদীর পাশে বাড়ি হওয়াটাই আমাদের কাল হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবের বৃদ্ধি পাওয়া পানিতে শরণখোলা উপজেলার কিছু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। আমরা তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছি।
তানজীম আহমেদ/এমএসআর