ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে মানুষকে বাঁচাতে শেষ সময়েও মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। বুধবার (২৬ মে) সকালে রাঙ্গাবালীর দক্ষিণ চরমোন্তাজ এলাকার মানুষদেরকে তারা উঁচু স্থানে নিয়ে গেছেন। এছাড়াও ওই এলাকার লোকজনকে সাইক্লোন শেল্টারে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। 

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জেলার নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন করে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। এতে ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। 

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সদস্য মো. জাহিদুল ইসলাম সিপন বলেন, ঘূর্ণিঝড় থেকে বাঁচাতে মানুষকে নিরাপদ স্থানে আনার মধ্যে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। আমরা মানুষকে সাইক্লোন শেল্টারে নেওয়ার চেষ্টা করছি। 

দক্ষিণ চরমোন্তাজ এলাকার নয়ার চর গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব বলেন, পানিতে আমার সব শেষ। সিপিপি সদস্যরা এসে বাচ্চাগো বাঁচাইছে। যার যায় সেই বোঝে।

পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মাসুদ রানা বলেন, এখন বৃষ্টি হচ্ছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। 

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/আরএআর