সুনামগঞ্জ পৌর শহরে জেলা মহিলা পরিষদের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। বুধবার (২৬ মে) দুপুরে এ বিয়ে হওয়ার আয়োজন করেছিলেন কিশোরীর বাবা মো. জসিম উদ্দিন। বর পৌর শহরের ওয়েজখালি গ্রামের বাসিন্দা আসমান মিয়া।

জানা যায়, সুনামগঞ্জ মহিলা পরিষদ গোপন সূত্রের ভিত্তিতে তথ্য পায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীর বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরে সংগঠনের নেতারা কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে হাজির হন।

পরে পরিবার দাবি করেন, মেয়ের বিয়ের বয়স হয়েছে। তাই বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরিফ আদনান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি কাগজপত্র যাচাই করে বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

পরে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. গোলাম আহমদ ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর জাহানারা বেগমের উপস্থিতিতে মেয়ের ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর দেন মেয়ের বাবা মো. জসিম উদ্দিন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শরীফা আশ্ররাফি সম্পা, লিগ্যাল এইড সম্পাদক রাশিদা বেগম, প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ তৃণা দে।

জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শরীফা আশ্ররাফি সম্পা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের কাছে সঠিক তথ্য-প্রমাণ ছিল মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি। কিন্তু মেয়ের পরিবার ভুয়া জন্মনিবন্ধন করে মেয়ের বয়স ২১ বছর করেছে, যা এক মাস আগে স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলের সহযোগিতায় বানানো হয়েছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানোর পর তারা এসে বিয়ে বন্ধ করেছে।

উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার মো. আরিফ আদনান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেয়ের বয়স ১৮ বছর হয়নি। তাই আমরা বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। আমাদের কাছে মেয়ের বাবা জসিম উদ্দিন অঙ্গীকার করেছেন মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না। এ অঙ্গীকারনামায় দুজন স্থানীয় কাউন্সিলের উপস্থিতিতে মেয়ের বাবা স্বাক্ষর করেছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শরীফা আশ্ররাফি সম্পা, লিগ্যাল এইড সম্পাদক রাশিদা বেগম, প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ তৃণা দে।

সাইদুর রহমান আসাদ/এনএ