সন্তানরা ঠিকমত ভরণপোষণ না দেওয়ায় মহেন্দ্র বাড়ৈ (৭২) নামে এক বৃদ্ধ আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার (২৯ মে) বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রাম থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ বাড়ৈ ও অধির বাড়ৈ জানান, মহেন্দ্র বাড়ৈ প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার এক সন্তান বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। বাড়িতে তার প্রথম পক্ষের দুই ছেলে এবং ছেলের বউ থাকলেও তারা ভরণপোষণ দিতেন না। এমনকি মহেন্দ্র বাড়ৈকে ঠিকমতো খাবারও দিতেন না। তাই মহেন্দ্র সন্তানদের ওপর অভিমান করে শুক্রবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় বাড়ির পাশে কালি মন্দিরের সামনে কাঁঠাল গাছে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে আগৈলঝাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলী হোসেন ঘটনাস্থল থেকে মহেন্দ্র বাড়ৈর মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যান। 

আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মহেন্দ্র বাড়ৈর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার মৃত্যুর ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে শুক্রবার রাতে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফেনাবাড়ি গ্রামের মৃত ধীরেন গুপ্তের ছেলে বিরেণ গুপ্ত (৬০) পারিবারিক কলহের কারণে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। 

বিরেন গুপ্তের ভাইয়ের ছেলে রমেন গুপ্ত জানান, পারিবারিক অশান্তির কারণে বিরেন গুপ্ত বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। 

অপরদিকে শনিবার সকালে গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা গ্রামের হেলাল সিকদারের মেয়ে সাহিনুর আক্তার (২৪) স্বজনদের সঙ্গে ঝগড়া করে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। পরিবারের লোকজন সাহিনুরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। 

আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.তানলিজা আক্তার জানান, আত্মহত্যার চেষ্টাকারী রোগীদের গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর