নদীতে ভেসে উঠল গণপিটুনিতে নিখোঁজ ডাকাতের মরদেহ, নিহত বেড়ে ৪
মাদারীপুরের কীর্তিনাশা নদীতে ভেসে উঠেছে গণপিটুনির পর নিখোঁজ ডাকাতের মরদেহ। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো চারজন। রোববার (২ মার্চ) বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার বিদ্যাবাগিস এলাকার কীর্তিনাশা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এখনো তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের বিদ্যাবাগিস এলাকার কীর্তিনাশা নদীতে একটি মরাদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদেন্তর জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল বলেন, আমি নদীতে হাত-পা ধুতে গেলে দেখি একটি মরদেহ ভাসতেছে। পরে লোকজন ডাক দিলে তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, স্থানীয়রা একটা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে মরদেহটি উদ্ধার করে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা ধারণা করছি ডাকাতির ঘটনায় তিনি মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর-শরীয়তপুর দুই জেলার সীমানাবর্তী এলাকা খোয়াজপুর-টেকেরহাট বন্দরে স্পিডবোট নিয়ে ডাকাতি করতে আসে একদল দুর্বৃত্ত। স্পিডবোটে অস্ত্র নিয়ে বালুবাহী জাহাজে ডাকাতির চেষ্টা চালায় তারা। বিষয়টি টের পেয়ে তাদের ধাওয়া দেয় এলাকাবাসী। ঘটনাস্থল থেকে হাতবোমা নিক্ষেপ করে দ্রুত সটকে পড়ার চেষ্টা করেন ডাকাতরা। পরে ইটপাটকেল ছুড়লে ডাকাতরা এলাকাবাসীর ওপর গুলি ছোড়ে। এতে মাদারীপুরের ৫ জন ও শরীয়তপুরের ৩ জন গুলিবিদ্ধ হন।
এ খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে একাধিক ট্রলার নিয়ে ডাকাতদের আবারও ধাওয়া দেন স্থানীয়রা। পরে কীর্তিনাশা নদীর শরীয়তপুরের তেঁতুলয়িা এলাকায় গতিরোধ করে তাদের আটকে গণপিটুনি দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে গুরুতর অবস্থায় ৭ ডাকাতকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় শরীয়তপুর জেলা সদর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন মারা যান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে একজন মারা যায়। এদের মধ্যে নিহত রিপনের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের কালিরচর এলাকায় ও আনোয়ার দেওয়ানের বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরায়। অন্য দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আকাশ আহম্মেদ সোহেল/আরএআর