চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের বাড়িতে লাল পতাকা

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ, মৃত্যু ও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের ষষ্ঠ দিন চলছে আজ। লকডাউন চলাকালেই শুক্রবার (২৮ মে) জেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে ৭ জনের দেহে। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের বাড়িতে বাড়িতে লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।

জেলা শহরের নিমতলা মোড়ের একটি বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা যায়, দুটি লাল পতাকা ঝোলানো রয়েছে। এই বাড়িছাড়াও জেলার আরও ৬টি বাড়িতে এমন করে পতাকা দিয়ে কঠোরভাবে লকডাউনের আওতায় নিয়ে আনা হয়েছে। 

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব-আল-রাব্বী বলেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি খুঁজে খুঁজে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। পতাকা দেওয়ার পাশাপাশি কঠোর নজরদারিতে রাখা হচ্ছে এসব বাড়ি। আশেপাশের প্রতিবেশীদের সঙ্গে যাতে কোনোভাবে মিশতে না পারে সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ৪২ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৭ জনের দেহে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাওয়া ফলাফল ও তালিকা দেখে ৭ জনের বাড়িতে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। এছাড়াও বাকি ৩৫ জনের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়া ৭ জনের আবারও নমুনা সংগ্রহ করা হবে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট যেহেতু অত্যন্ত শক্তিশালী, তাই এ ব্যাপারে সকলকে খুব সচেতন হতে হবে।

এদিকে জেলা শহরের পাশাপাশি মফস্বলেও কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকরে মাঠে তৎপর রয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা এবং সদস্য। জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে।

লকডাউনে দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাস ও ট্রেনসহ যানবাহন বন্ধ রয়েছে। মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতেই চলছে।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানায়, জেলায় শনাক্ত হওয়া ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বহনকারী ৭ জনের মধ্যে ৫ জনই সদর উপজেলার। বাকি ২ জন শিবগঞ্জ উপজেলার। তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ২ জন নারী রয়েছেন। ২ নারীর একজন শিবগঞ্জের আরেকজন সদর উপজেলার।

জাহাঙ্গীর আলম/এমএসআর