নরসিংদীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় ভুয়া ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ। মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আতাউর রহমান ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে সোমবার (৩১ মে) বিকেলে সদরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, রোববার সন্ধ্যায় নিরালা হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নেন ওই নারী। এ সময় হোটেল রেজিস্ট্রারে তার নাম-ঠিকানায় লেখা হয় নরসিংদী জেলার ডৌকাদির আবু তাহের ও ফাতেমা জোহরার মেয়ে রেহানা আক্তার (৩০)।

সোমবার দুপুরে ভেতর থেকে হোটেল কক্ষের দরজা বন্ধ থাকায় ও তার সাড়া না পেয়ে সদর থানায় খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৩টায় পুলিশ কক্ষের দরজা ভেঙে দেখেন, জানালার গ্রিলের সঙ্গে ওই নারীর মরদেহ ঝুলছে। ঘটনার এক দিন পর বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। হোটেলের রেজিস্ট্রিতে এন্ট্রি করা ওই নারীর নাম-পরিচয় ছিল সম্পূর্ণ ভুয়া। তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার ১ নং ওয়ার্ডের মৃত মোহাম্মদ তাহেরের মেয়ে নাসরিন আক্তার (৪০)। 

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আতাউর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ফিঙ্গার স্ক্যান করে তার আইডি কার্ড চেক করি অনলাইনে। তার এন্ট্রি করা পরিচয় ভুয়া ছিল। ওই নারী মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত ছিল বলে জানতে পেরেছি। বেশ কিছু দিন আগে তিনি নিজের ছেলেকে কুপিয়ে আহত করেন। রোববার ছেলেটি মারা গেলে তিনি এখানে এসে ওঠেন। তার মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। 

রাকিবুল ইসলাম/এসপি