মনপুরা উপজেলায় মাছ ধরা ট্রলারের ধাক্কায় যাত্রীবোঝাই ট্রলারডুবি

ভোলার মনপুরা উপজেলায় মাছ ধরা ট্রলারের ধাক্কায় যাত্রীবোঝাই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে অল্পের জন্য প্রাণ বাঁচল দুই শতাধিক যাত্রীর।

মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) সকালে মনপুরা উপজেলা থেকে নোয়াখালীর হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাট যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ট্রলারে থাকা ২০ জন যাত্রী আহত হন। আহতদের মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ট্রলারে থাকা সব যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আয়শা বেগম, তানজু বেগম, রিপা বেগম, হেলাল, জসিম, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম, স্বপ্না বেগম, রিফাত, রেহানা, মুনতাহা, ফারজানা, লালমোহন উপজেলার রুবেল, নোয়াখালীর নাজিম ও নুরনবী। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

উদ্ধার যাত্রীরা জানান, মনপুরার মাস্টারহাটঘাট থেকে দুই শতাধিক যাত্রী ও গবাদিপশু নিয়ে আলাউদ্দিন মাঝির ট্রলার নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চেয়ারম্যানঘাটে যাচ্ছিল। মনপুরার হাজিরহাট ল্যান্ডিং স্টেশনঘাট সংলগ্ন মেঘনায় ইসলাম মাঝির সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলারের সঙ্গে আলাউদ্দিন মাঝির ট্রলারের সংঘর্ষ হয়। 

এতে ট্রলারের একপাশ ভেঙে যায়। ট্রলারে থাকা যাত্রীরা নদীতে পড়ে যান। স্থানীয়রা নদীতে পড়ে যাওয়া যাত্রীসহ গবাদিপশু দ্রুত উদ্ধার করে। ফলে প্রাণ বাঁচে দুই শতাধিক যাত্রীর। তবে এ ঘটনায় ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

যাত্রীবাহী ট্রলারের মাঝি আলাউদ্দিন বলেন, যাত্রী নিয়ে হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাট যাওয়ার সময় হাজিরহাট ল্যান্ডিং স্টেশন সংলগ্ন মেঘনায় ইসলাম মাঝির ট্রলার ধাক্কা দেওয়ায় ট্রলারের একপাশ ভেঙে যায়। এতে যাত্রীরা নদীতে পড়ে যান। স্থানীয়রা সবাইকে উদ্ধার করে।

মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। সব যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারের মাঝি আলাউদ্দিন মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন।

মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম মিঞা বলেন, ট্রলারডুবির পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

এএম