৩৮টি পাখি ও প্রাণী উদ্ধার করেছে বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট

নরসিংদীর আরশীনগর পার্ক ও মিনি চিড়িয়াখানায় অবৈধভাবে আটকে রাখা বিভিন্ন প্রজাতির ৩৮টি পাখি ও প্রাণী উদ্ধার করেছে বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে এদের গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উদ্ধার হওয়া প্রাণী ও পাখিগুলোর মধ্যে রয়েছে ১টি ভাল্লুক, ১টি অজগর সাপ, ২টি বালিহাঁস, ১৩টি বক, ৪টি বানর, ১টি গন্ধগোকূল, ১টি শকুন, ১টি চিল ও ৫টি সজারু।

বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক মো. জহির আকন জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে নরসিংদীর সদর থানার এলাকার আরশীনগর পার্ক ও মিনি চিড়িয়াখানা পরিদর্শনে গিয়ে সেখানে অবৈধভাবে বেশ কিছু দেশি-বিদেশি পাখি ও বন্য প্রাণী খাঁচায় আটকে রাখা হয়েছে দেখতে পান তারা। পরে মিনি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এবং দেশীয় বন্য প্রাণী খাঁচায় বন্দি করে রাখা দণ্ডনীয় অপরাধ সম্পর্কে জনানো হয়।

পরে তারা আইন না জেনে বন্য প্রাণীগুলোকে আটক রাখার কথা স্বীকার করলে পাখি-প্রাণীগুলোকে তাদের কাছে হস্তান্তর করতে বলা হয়। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালে তারা পাণীগুলোকে অপরাধ দমন ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বন্য প্রাণীগুলোকে উদ্ধার করে অবমুক্ত করার জন্য গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান জানান, বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক মো. জহির আকন উপস্থিত থেকে উদ্ধার হওয়া ওই সব প্রাণী ও পাখিগুলো বুঝিয়ে দেন। এদের মধ্যে বানর ও গন্ধগোকুল ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য পাখিগুলোকে সাফারি পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছে। আর প্রাণীগুলোকে সাফারি পার্কে আলাদা করে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

এ সময় পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান, বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস, বন্য প্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম কুমার মল্লিক, পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার মো. আনিসুর রহমান ও মো. সারোয়ার হোসেন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শিহাব খান/এনএ