কিশোরীকে উদ্ধার করতে গিয়ে হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক কিশোরীকে (৫ মে) উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য। তারা যশোরের কোতোয়ালি থানায় কর্মরত রয়েছেন। সোমবার (৫ মে) বিকেলে কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন বাকুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- যশোর কোতোয়ালি থানার এএসআই তাপস কুমার পাল, কনস্টেবল রাবেয়া খাতুন ও ফারজানা খাতুন।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে সুজন হোসেন নামে এক যুবক যশোর থেকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক কিশোরীকে নিয়ে বাকুলিয়া গ্রামের ইমাদুল ইসলামের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সুজন হোসেন বাকুলিয়া গ্রামের ইমদাদুল ইসলামের শ্যালিকার ছেলে। পরে সুজন ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক পরিবারের সম্মতি ছাড়াই বিয়ে করেন। এ ঘটনায় কিশোরীর পরিবার যশোর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেন। এরপর যশোর থানা পুলিশ সোমবার দুপুরের পর কালীগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় কিশোরীকে উদ্ধারে বাকুলিয়া গ্রামে যায়।
এ সময় পুলিশ ইমাদুলের বাড়িতে গিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় স্থানীয় ৬ থেকে ৭ জন নারী-পুরুষ পুলিশের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা ওই কিশোরীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। হামলার খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত পুলিশ সদস্য ও ভিকটিম কিশোরীকে উদ্ধার করে। আহত পুলিশ সদস্যরা কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
আহত পুলিশ সদস্য রাবেয়া খাতুন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় ৬ থেকে ৭ জন লোক এসে আমাকে মারধর শুরু করে। আমার সাথে থাকা অপর এক নারী কনস্টেবলকেও বেধড়ক মারধর করে তারা।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কালীগঞ্জ থানায় রাখা হয়েছে। যশোর জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। তারা চাইলে আমরা সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেব।
আব্দুল্লাহ আল মামুন/আরএআর