করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয় ইউনিয়নে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন চলছে। শনিবার (০৫ জুন) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ লকডাউন চলবে আগামী ১১ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত।

লকডাউন অনুযায়ী নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার নোয়ান্নই, কাদিরহানিফ, বিনোদপুর, অশ্বদিয়া, নেওয়াজপুর ও নোয়াখালী ইউনিয়নে ফার্মেসি ছাড়া সকল দোকানপাট বন্ধ থাকবে। কাঁচা বাজার খোলা থাকবে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। শর্তসাপেক্ষে খোলা থাকবে খাবার হোটেল। তবে হোটেলে বসে খাবার খাওয়া যাবে না।

সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার সকালে দোকানপাট ও মানুষের চলাচল অন্যান্য দিনের চেয়ে কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সমাগম বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে বাজার-ঘাটে মানুষের চলাচল ছিল স্বাভাবিক দিনের মতোই। অনেকেরই মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। কেউ কেউ মাস্ক পরলেও থুতনিতে ঝুলিয়ে রেখেছেন। আর অনেকের মাঝে বিধিনিষেধ মানতে অনীহা দেখা গেছে।

নোয়াখালী পৌরবাজারে আসা মো. বাতেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকে বের হওয়ার ইচ্ছা ছিল না। তারপরও জরুরি প্রয়োজনে বাজারে আসলাম।

এর আগে শুক্রবার (৪ জুন) বিকেলে জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান জেলাবাসীকে সুরক্ষা দেওয়ার স্বার্থে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার নোয়ান্নই, কাদিরহানিফ, বিনোদপুর, অশ্বদিয়া, নেওয়াজপুর ও নোয়াখালী ইউনিয়নে সাতদিনের লকডাউন ঘোষণা করেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, এই সাতদিন যেসব মানুষ কষ্ট পাবেন, তারা জীবনের কথা ভেবে, বেঁচে থাকার কথা ভেবে এটিকে মেনে নেবেন। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। তাদের সম্মতি রয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য বিষয়টি অবহিত আছেন। নিজেদের সুরক্ষার জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য যা যা করণীয় সব কিছু করা হবে।

তিনি আরও বলেন, লকডাউন ঘোষণা করা এলাকাগুলোতে ফার্মেসি ছাড়া সকল দোকানপাট বন্ধ থাকবে। কাঁচা বাজার খোলা থাকবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। শর্তসাপেক্ষে খোলা থাকবে খাবার হোটেল। তবে হোটেলে বসে খাবার খাওয়া যাবে না। জরুরি সেবা বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট, চিকিৎসা সেবাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর কাজে নিয়োজিত পরিবহন এবং যানবাহনের পরিষেবা চালু থাকবে।

হাসিব আল আমিন/আরএআর