দ্রুত দেশের সংস্কার শেষ করে জাতীয় নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেন, উপদেষ্টারা ৮ মাসে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। এজন্য আমরা ও দেশের ছাত্র-জনতা আন্দোলন করিনি।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, দেশে আগের মতোই চুরি-ছিনতাই চলছে। আমরা বৈষম্য দূর করতে আন্দোলন করেছি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে ভারতের সঙ্গে গোলামির চুক্তি করে গেছেন। আমাদের চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতের জাহাজ এলে বিনা শুল্কে তাদের মাল আগে খালাস হতো। গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা দেশটাকে ধ্বংস করে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা বলতেন দেশে জঙ্গিবাদ বেড়ে গেছে। কিন্তু গত ৮ মাসে কোনো জঙ্গির ঘটনা ঘটেনি। এগুলো সব ভারতের প্রেসক্রিপশন ছিল। আমাদের দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্রে ছিল তারা। অনেকেই মনে আমরা ভারতের পেটের মধ্যে, আসলে ভারত আমাদের পেটের মধ্যে। আমাদের দেশের মানুষ সচেতন নয়। আমরা কী কাজ করি, কী করছি, কেন ভোট দিচ্ছি- এটাই আমরা জানি না। কয়দিন আগে ভারত-পাকিস্তান যে যুদ্ধ হয়েছিল, কেন হয়েছিল, যুদ্ধের নাম কি দিয়েছিল সেটাও আমরা জানি না। কেন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, ব্রিটিশদের কাছ থেকে কেন আমরা মুক্তি নিয়েছি, আমরা এটাও জানি না। আমাদের সমস্যাটা সেখানেই। 

অন্তবর্তী সরকারের উদ্দেশে মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, বর্তমান সরকার আমেরিকার তাঁবেদারি করে মানবিক করিডোর দেওয়াসহ চট্টগ্রামের সেন্ট মার্টিনে আমেরিকার ঘাঁটি দিতে চাইছে। 

গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ভৈরব উপজেলা শাখার সভাপতি হাজী মোহাম্মদ মুসা খান। সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক মাওলানা আলমগীর হোসাইন তালুকদার, মাওলানা শফিকুল ইসলাম ফারুকী, মাওলানা নোমান আহমেদ, মুফতি মাহমুদুল কাসেমী প্রমুখ।

মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/আরএআর