বন বিভাগের গাছ অবৈধভাবে কেটে কারাগারে কৃষক
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বন বিভাগের গাছ অবৈধভাবে কেটে কারাগারে গেলেন মো. হানিফ (৪৭) নামের এক কৃষক।
গতকাল বিকেলে হাতিয়া আদালতে তাকে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান। এর আগে সকালে জাহাজমারা সদর বিটের চর ইউনুসে সরকারি ম্যানগ্রোভ বনে গাছ কাটার সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, জাহাজমারা সদর বিটের চর ইউনুস এলাকায় মো. হানিফ চাষাবাদের উদ্দেশ্যে সরকারি ম্যানগ্রোভ বন থেকে গাছ কেটে মাটি কাটছিলেন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। বন বিভাগের লোকজন তাকে হাতেনাতে ধরে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা বলছেন, ম্যানগ্রোভ বন রক্ষার জন্য সকলের সচেতন হওয়া দরকার, কারণ এসব অবৈধ কার্যক্রম পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে।
বিজ্ঞাপন
জাহাজমারা সদর বিট কর্মকর্তা মো. সোহাগ আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসামি হানিফ সংরক্ষিত বনে অনধিকার প্রবেশ করে সরকারি গাছ কেটে পরিবেশ ও রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধন করেছেন। তিনি জমি তৈরির উদ্দেশে গাছ কেটে মাটি কেটেছেন। এতে সরকারি বাগানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বনের জমি জবরদখলের চেষ্টা করায় তার বিরুদ্ধে ১৯২৭ সালের বন আইনে (২০০০ সালে সংশোধিত) মামলা করা হয়।
জাহাজমারা রেঞ্জ কর্মকর্তা এস এম সাইফুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, জাহাজমারা এলাকার ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের ম্যানগ্রোভ বন এলাকা বিগত সরকারের আমল থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় উজার এবং বনভূমি জবর দখলের অপচেষ্টা চলছে। সরকার পরিবর্তনের পরেও বন ধ্বংসকারীরা থেমে নাই। এ বিষয়ে বিগত সময়ে শতাধিক বন মামলা হলেও আসামিরা মামলাকে ভয় না পেয়ে তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছেন।
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, জাহাজমারার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের আন্তরিক সহযোগিতা না থাকলে বন বিভাগের একার পক্ষে বন রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। জাহাজমারা বন বিভাগের বিট কর্মকর্তাসহ সকল স্টাফ বন রক্ষার্থে টহল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
হাসিব আল আমিন/এনএফ