সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের ভয়াবহ পরিণতিতে প্রাণ হারিয়েছেন এক গৃহবধূ। অশালীন আচরণের প্রতিবাদ করায় আপন ভাতিজার হাতে গতকাল রাতে নির্মমভাবে খুন হন চাচি রুকশানা বেগম (৩৫)।

রুকশানা বেগম দোহালিয়া ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. ফিরিজ আলীর স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত ওয়ারিছ আলীর ছেলে জসিম উদ্দিন (২৬) দীর্ঘদিন ধরেই চাচি রুকশানা বেগমের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে আসছিলেন। স্থানীয়ভাবে কয়েকবার গ্রাম্য সালিশ হলেও জসিমের আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে রুকশানা বেগম বারান্দায় বের হলে, জসিম উদ্দিন তার দেখে অশালীন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে। চাচি এর প্রতিবাদ করলে, উত্তেজিত হয়ে জসিম ঘর থেকে বটি এনে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ঘাতক জসিম পালিয়ে যায়।

এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় রক্তাক্ত অবস্থায় রুকশানাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক জানান, ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং পলাতক ঘাতক ভাতিজাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

তামিম রায়হান/এনএফ