নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ১০ নং শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রানজিৎ কুমার রায় পলাশের বিরুদ্ধে রমজান উপলক্ষে অসহায়, গরিব ও দুস্থদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের টাকা আত্মসাৎ করার সংবাদ প্রকাশের পর তদন্ত কর্তমকর্তা নিয়োগ করেছে নীলফামারী জেলা প্রশাসন।

সোমবার (০৭ জুন) জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখার সহকারী পরিচালক মো. জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন স্বাক্ষরিত স্মারকপত্রে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মাহাবুব হাসানকে ঘটনার তদন্তপূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মাহাবুব হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি।  এখনো চিঠি হাতে পাইনি। চিঠি পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এর আগে গত ২৪ মে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাপোস্ট.কমে ‘প্রধানমন্ত্রীর উপহারের টাকা আত্মসাৎ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, শৌলমারী ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের টাকা জিআর বরাদ্দ হিসেবে ৫০০ জন সুবিধাভোগীর প্রত্যেককে ৫০০ টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। এবং ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফের জন্য ৬ হাজার ৭১৭ জন সুবিধাভোগীকে ৪৫০ টাকা করে প্রদান করা হয়েছে।

কিন্তু রমজান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার (জিআর) এবং ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফ উভয় তালিকায় নাম আছে, এমন সুবিধাভোগীর সংখ্যা দেড় শতাধিক। উভয় বরাদ্দ পাওয়া সুবিধাভোগীরা জিআর বরাদ্দে ৫০০ টাকা ও ভিজিএফ বরাদ্দে ৪৫০ টাকাসহ ৯৫০ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও তারা পেয়েছেন ভিজিএফ বরাদ্দের ৪৫০ টাকা। রমজান উপলক্ষে অসহায় ও গরিব মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ৫০০ টাকারও হদিস নেই।

জিআর ও ভিজিএফ উভয় বরাদ্দে নাম থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ৫০০ টাকা না পাওয়া বেশ কয়েকজন সুবিধাভোগীর সঙ্গে কথা বলে এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া য়ায়। তবে জিআর বরাদ্দ তালিকার সবাই ভিজিএফের ৪৫০ টাকা পাওয়ায় জিআর বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ হওয়ার ঘটনা টের পাননি। ফলে কৌশলে এ টাকা আত্মসাৎ করেন ইউপি চেয়ারম্যান।

মাহমুদ আল হাসান রাফিন/এসপি