নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পাখির ছানা ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মো. আতিক (১৩) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৬ জুন) রাতে দীর্ঘ পাঁচ দিন পর জাতীয় বার্ণ ইনিস্টিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে ১১ জুন বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত মো. আতিক বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নাজিরপুর গ্রামের ওয়াসেক হাজি বাড়ির রিকশা চালক মো. জাহাঙ্গীরের ছেলে। সে স্থানীয় দক্ষিন নাজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. রাহাত চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১১ জুন বিকেলে আতিক একটি গাছে পাখির বাসা দেখে সে ওই গাছে ওঠে। পাখির বাসা থেকে ছানা ধরতে গিয়ে পাশের বিদ্যুতের খামারে যায়। এসময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিদ্যুতের খামারে সে ঝুলে থাকে। তারপর স্থানীয়রা গাছে উঠে তাকে নামিয়ে আনে। তারপর  জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাজধানীর জাতীয় বার্ণ ইনিস্টিউটে রেফার্ড করেন। দীর্ঘ ৫ দিন পর সোমবার (১৬ জুন) রাতে আতিককে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আতিকের বাবা রিকশাচালক মো. জাহাঙ্গীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বাপজান আমারে রেখে চলে গেছে। বিদ্যুতের কাছে আমার সন্তানের জীবন শেষ হয়ে গেল। আমার ছেলে আমাকে আর বাবা ডাকবে না। আমিও তারে আদর করতে পারুম না।

বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ চৌমুহনীর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহাদাৎ ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষটি আমরা জেনেছি। আসলে আমাদের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কোনো নিরাপত্তা বেস্টনি নেই। শিশুটি পার্শ্ববর্তী গাছ থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। যদি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে না উঠার মতো কাটা তার থাকতো তাহলে এমন দুর্ঘটনা নাও ঘটতে পারতো। আমরা বিষয়টি আগামীতে ঠিকাদারকে বলবো যেনো কেউ উঠতে না পারে। 

হাসিব আল আমিন/আরকে