বৃহত্তর সিলেট বিভাগে ১৮৬ জন কুষ্ঠ রোগীর উপস্থিতির কথা জানা গেছে। কুষ্ঠ নিরাময়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করছে এমন এনজিও প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে সিলেট বিভাগেই ১৮৬ জন কুষ্ঠ রোগীর মধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় সর্বোচ্চ ৮৬ জন রোগী রয়েছেন। যারা অধিকাংশই চা শ্রমিক পরিবারের। 

মঙ্গলবার (৮ জুন) বিকেলে শ্রীমঙ্গলের রাজঘাট চা বাগান কমিউনিটি ক্লিনিকে দরিদ্র চা শ্রমিকদের কুষ্ঠ রোগ প্রতিরোধ সাধারণ মানুষদের সচেতন করতে যত্ন নেয়ার অনুশীলন অনুষ্ঠিত হয়। 

লেপ্রা বাংলাদেশ নামে সংস্থাটি জানিয়েছে দরিদ্রতা ও অসচেতনতার কারণে চা বাগান অধ্যুষিত এলাকায় কুষ্ঠ রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুধু শ্রীমঙ্গল উপজেলাতেই ৩৪ জন রোগী রয়েছেন। মৌলভীবাজার জেলায় বিভাগের সর্বোচ্চ ৮৬ জন রোগীসহ সিলেটে ৭১, সুনামগঞ্জে ৮ ও হবিগঞ্জে ২১ জন কুষ্ঠ রোগী রয়েছেন। 

শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পা কর্মকর্তা ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে লেপ্রা বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডেভিট পাহান, প্রজেক্ট ম্যানেজার থমাস সিংহ, মনিটরিং অফিসার শ্যামল কুমার চৌধুরী, প্রোগাম অর্গানাইজার দিপংকর বক্ষ্রচারী, এরিয়া সুপারভাইজার জিয়াউর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকের মাঠ কর্মী ও কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত রোগীরা অংশ নেয়। 

এসময় কুষ্ঠ রোগীরা নিজেদের যত্ন ও রোগের প্রাথমিক লক্ষণ, সংক্রমণ নিরাময়সহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। কেবল সচেতনতার মাধ্যমে কুষ্ঠ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানান কর্মকর্তারা।  

তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সবাইকে কাজ করে যেতে যে আহ্বান জানিয়েছেন, তার প্রেক্ষিতে লেপ্রা বাংলাদেশ প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা প্রদানে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। 

পরে কুষ্ঠ রোগীদের মাঝে বালতি, মগ, তোয়ালে, টিফিন বক্সসহ বিভিন্ন নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি বিদেশি সংস্থার সূত্র মতে, এখনো প্রতি বছর প্রায় চার হাজার মানুষ নতুন করে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সংস্থাটি বলছে, ২০১৯ সালে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সারাদেশে ৩ হাজার ২০৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। 

ওমর ফারুক নাঈম/এমএএস