রাজশাহী নির্বাচন অফিসে সরকারি ফি নগদে নেওয়ার সত্যতা পেয়েছে দুদক
রাজশাহী জেলা নির্বাচন অফিসে ভোটার স্থানান্তর ও নাম সংশোধন ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ফি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে না নিয়ে নগদে নেওয়ার সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে নগরীর কাজীহাটা এলাকার রাজশাহী নির্বাচন অফিসে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালিয়ে এ সত্যতা পায়। অভিযানে দুদক সেবা প্রত্যাশীদের থেকে বিনা ট্রেজারি চালান ছাড়া নগদে টাকা নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে।
বিজ্ঞাপন
অভিযানে টিম লিডার ছিলেন দুদকের রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ সিদ্দীক, উপসহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
দুদকের রাজশাহী অফিসের সহকারী পরিচালক আমীর হোসেন বলেন, ভোটার স্থানান্তর ও নাম সংশোধন বিষয়ে ফি-এর অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়। এ ছাড়া গ্রাহকদের হয়রানি করা হয়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অফিসটিতে আউটসোর্সিংয়ে যারা কাজ করেন তাদের সরকারি ফি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা নেওয়ার কথা থাকলেও তারা নগদে সরাসরি টাকা নিয়েছেন। এর কোনো রশিদ নেই। দুজন সেবা প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে সত্যতা মিলেছে।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগীদের থেকে ২৩০ টাকা করে নগদ অর্থ নেওয়া হয়। আউটসোর্সিংয়ের কর্মীদের ধরা হলে তারা কোনো ট্রেজারি চালান দেখাতে পারেনি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দুদক কমিশনে লিখিত প্রতিবেদন পাঠাবে বলে জানানো হয়।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান বলেন, দুদক থেকে এসে জানতে চেয়েছিল চলতি মাসে কতগুলো এনআইডির কাজ হয়েছে। সেই তথ্য তাদের দেওয়া হয়েছে। এর বেশি কথা হয়নি।
শাহিনুল আশিক/এএমকে