১৩ বছর আগে জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ভিডিও ভাইরাল, ওসি প্রত্যাহার
১৩ বছর আগে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটার একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসমত আলীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ১২ দিন আগে তিনি ক্ষেতলাল থানায় যোগ দিয়েছিলেন।
তাকে প্রত্যাহারের বিষয়টি পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ক্ষেতলালের ওসি হাসমত আলীকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশের একটি সূত্র বলছে, হাসমত আলী যখন জয়পুরহাট সদর থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত ছিলেন। সেই সময় জামায়াতে ইসলামীর মিছিলে তার লাঠিচার্জ করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর এসপি তাকে প্রত্যাহার করেন। ওই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম কামালকে চার্জ বুঝিয়ে দিয়ে তিনি এসপির কার্যালয়ে আসেন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, জয়পুরহাট শহরে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের মিছিলে থানার এসআই হাসমত আলী লাঠিচার্জ করছেন। লাঠিচার্জে সেই সময়কার জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি নজরুল ইসলামকে বেধড়ক লাঠিচার্জে গুরুত্বর আহত হন।
বিজ্ঞাপন
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিও ২০১২ সালের ৪ নভেম্বরের। ওইদিন আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে জয়পুরহাট শহরে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ শুরু করে। জয়পুরহাট সদর থানার তৎকালীন এসআই হাশমত আলীর লাঠিচার্জে তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর জয়পুরহাট জেলা শাখার সেক্রেটারি অধ্যাপক নজরুল ইসলামসহ দলীয় নেতাকর্মীরা গুরুতর আহত হন। ওই দিনই গুলিতে শিবিরের কর্মী বদিউজ্জামান মারা যান। ওই ঘটনার ১৩ বছর পর চলতি মাসের ১৩ জুন হাশমত আলী ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে যোগদান করেন। মঙ্গলবার রাতে পুরনো সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর বুধবার সকালে ওসি হাসমত আলী গোপনে থানা ছেড়ে চলে যান।
ক্ষেতলাল উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি শামীম হোসেন মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন পর হাশমত আলী পদোন্নতি পেয়ে ওসি হিসেবে ক্ষেতলাল থানায় যোগদান করেন। আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর সেই লাঠিপেটার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরালের পর ওসি হাশমত আলী থানা থেকে চলে গেছেন।
চম্পক কুমার/এমএন