দিনাজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী আবদুল হক নামের একজনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। বুধবার (৯ জুন) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে দিনাজপুর জেলা কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

এ সময় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন ছাড়াও রংপুর ডিআইজি (প্রিজন) আলতাফ হোসেন, কারা চিকিৎসকসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিকেলে আবদুল হকের পরিবারের ১৫ সদস্য (নিকটাত্মীয়) শেষ সাক্ষাৎ করেন। তারা তার সঙ্গে দীর্ঘ প্রায় এক ঘণ্টা ধরে কথা বলেন এবং খাবার খাইয়ে চলে যান।

বুধবার সন্ধ্যায় জেলা কারাগার মসজিদের ইমাম কারা অভ্যন্তরে গিয়ে আব্দুল হককে অজু, গোসলের পর তওবা পাঠ করান। ফাঁসি কার্যকরের পর মৃত্যু নিশ্চিত হলে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আবদুল হক রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভক্তিপুর চৌধুরীপাড়া এলাকার মৃত আছির উদ্দীনের ছেলে।

কারা সূত্রে জানা গেছে, আবদুল হক ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তার স্ত্রীকে হত্যা করেন। পরে তার শাশুড়ি বাদী হয়ে ২০০২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা করে। মামলা নং ১৫। ২০০৭ সালের ৩ মে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আবদুল হককে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে সাজা বহাল থাকায় সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন আবদুল হক।

রাষ্ট্রপতি সবকিছু বিবেচনায় গত ১৮ মে প্রাণভিক্ষার আবেদন নামঞ্জুর করলে ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। গতকাল ৯ জুন দিনাজপুর জেলা কারাগারে আবদুল হকের ফাঁসি কার্যকর করা হলো।

সূত্র জানায়, দিনাজপুর জেলা কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অহিদুল ইসলাম নামের এক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে জল্লাদ হিসেবে আনা হয়। দিনাজপুর জেল সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন লাল রুমাল ফেলে ফাঁসির সংকেত দেন বলে জানা যায়।

এনএ