যৌনপল্লীতে বিক্রি থেকে রক্ষা পেলেন তরুণী
গ্রেফতার মনির
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রির হাত থেকে রক্ষা পেলেন ২০ বছর বয়সী এক তরুণী। মঙ্গলবার (৮ জুন) রাতে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর প্রধান গেট থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার রাজমহল গ্রামের মো. জালালের ছেলে মো. মনির (২৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মাসুম (৩০) এবং অজ্ঞাতনামা আরও একজন পলাতক রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই তরুণীর বাবা ও মায়ের মধ্যে ডিভোর্স হয়। পরে তার বাবা নতুন করে একটি বিয়ে করেন। নতুন মা তাকে প্রতিনিয়ত শারীরিক, মানসিকভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করতেন এবং কষ্ট দিতেন।
এই কষ্টের কথা পূর্ব পরিচিত মাসুমকে জানান। পরে মাসুম ভালো বেতনে গার্মেন্টসে চাকরির কথা বলে ওই তরুণীকে পঞ্চগড় থেকে প্রথমে ঢাকায় পাঠান। কিন্তু ঢাকায় চাকরি মেলেনি। ভালো বেতনে চাকরির জন্য মাসুম তাকে গোয়ালন্দে আসতে বলেন।
বিজ্ঞাপন
ওই তরুণী গোয়ালন্দ এসে পৌঁছালে মনির ও আরও একজনকে সঙ্গে নিয়ে তাকে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর প্রধানগেটে নিয়ে যান মাসুম। সেখানে তারা ওই তরুণীকে বিক্রির চেষ্টা করেন এবং পল্লীর ভেতরে প্রবেশ করাতে চান।
এসময় তাদের ও অন্যান্য মেয়েদের চলাচল ও কথাবার্তায় সন্দেহ হলে ওই তরুণী চিৎকার করেন। পরে স্থানীয়রা মনিরকে আটক করেন। তবে মাসুম ও অজ্ঞাতনামা আরও একজন সেখান থেকে পালিয়ে যান। তখন স্থানীয়রা ওই তরুণীকে উদ্ধার করেন ও মনিরকে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ্ আল তায়াবীর জানান, এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য দুজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ওই তরুণী মানবপাচার আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মীর সামসুজ্জামান/আরএইচ