ময়মনসিংহের ভালুকায় ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় নিহত দুই শিশুসন্তান ও তাদের মাকে নানার বাড়ি উপজেলার রাজৈ ইউনিয়নের কুল্লাবর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। সেখানে মা ময়না আক্তারের (২৫) সঙ্গে দুই পাশে পাশাপাশি কবরে দাফন করা হবে শিশু নিরব (২) ও রাইসা মনিকে (৭)।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বাদ আসর নিহত নিরব ও রাইসার নানা মৃত আতাব উদ্দিনের পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি প্রস্তুত করা হয়েছে তিনটি করব। এ ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের পাশাপাশি শোকেবিহ্বল কুল্লাবর গ্রামবাসীও।

ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিহত দুই শিশুর মামা মো. জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আজ বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে মৃতদেহ আমাদের গ্রামের বাড়ি কুল্লাবরে নিয়ে আসা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পারিবারিক কবরস্থানে প্রস্তুত করা হয়েছে পাশাপাশি তিনটি করব। মৃত্যুর সময় মায়ের দুই পাশে যেভাবে দুই শিশু সন্তানের মৃতদেহ পড়েছিল। ঠিক সেভাবেই মায়ের কবর মাঝখানে রেখে দুই পাশে খনন করা হয়েছে দুই সন্তানের কবর। 

এ সময় তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, শুনেছি আজ বিকেলে খুনি গ্রেপ্তার হয়েছে। আমরা চাই, এই বিভৎস হত্যাকাণ্ডের খুনিকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হোক। যেন এই ধরনের অপরাধ আর কেউ করতে সাহস না পায়। 

এর আগে, গতকাল ১৪ জুলাই ভোররাতে ভালুকা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড টিএনটি রোড এলাকার জনৈক হাইয়ুমের ভাড়া বাসায় শিশু রাইসা (৭), নিরব (২) ও মা ময়না আক্তারকে (২৫) রান্না করার বটি (দা) দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে আসামি নজরুল ইসলাম। তিনি নিহত ময়না আক্তারের দেবর। নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সেনের বাজার এলাকার সলতু মিয়ার ছেলে আসামি নজরুল ইসলাম।

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, নিহত ময়নার স্বামী রফিকুল ইসলাম স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তানসহ ছোট ভাই নজরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় রাসেল স্পিনিং কারখানায় চাকরি করতেন। ঘটনার সময় রাতে রফিকুল ছিলেন কর্মস্থলে। এরপর সকাল ৯টার দিকে রফিকুল কর্মস্থল থেকে বাসায় গিয়ে দেখেন গেটের দরজায় তালা ঝুলানো। এ সময় ডাকাডাকি করেও কারো সাঁড়া না পেয়ে তালা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখেন তার স্ত্রী ও দুই সন্তান গলাকাটা অবস্থায় পড়ে আছে।

মো. আমান উল্লাহ আকন্দ/এএমকে