দোয়া মাহফিলে অনুসারীদের সঙ্গেনোচেন কাদের মির্জা

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে গানের সঙ্গে নাচের বিষয়ে মুখ খুললেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

শনিবার (১২ জুন) দুপুর আড়াইটায় আবদুল কাদের মির্জা ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে আমি ‘বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা’ গানটির সঙ্গে  নেতাকর্মীদের নিয়ে নেচে নেচে আনন্দ করেছি। অনেকে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে নিয়েছেন। এখানে ভিন্নভাবে নেওয়ার কিছু দেখছি না।

তিনি আরও বলেন, গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস ছিল। সেনাসমর্থিত ১/১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে ধানমন্ডির বাসভবন থেকে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। দিবসটি আমাদের জন্য অনেক আনন্দের। তাই আমরা আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করেছি।

কাদের মির্জা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস হলো গণতন্ত্রের মুক্তির দিবস। এই দিবসটিতে আনন্দ করাটাই স্বাভাবিক। এটা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললে তিনি তার দলীয় অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন।

গতকাল শুক্রবার (১১ জুন) বিকেলে বসুরহাট পৌর মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে গানের তালে তালে নাচেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তার নাচের একটি ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। 

দুই মিনিট দুই সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে ঘিরে তার অনুসারীরা গানের তালে তালে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। কাদের মির্জাও হাততালি দিয়ে ঘুরে ঘুরে নাচছেন।

নাচের দৃশ্যটি অনেকে ফেসবুকে লাইভ করেন। আবার অনেকে ভিডিও ধারণ করে পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। অল্প সময়ের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। পৌরসভায় দ্বিতীয় মেয়াদে গত ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলে আলোচনায় আসেন তিনি।

স্থানীয় রাজনীতির বিভিন্ন ইস্যুতে দলীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার বিরোধের ঘটনায় দুটি সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ৩১ মার্চ দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন কাদের মির্জা। পদত্যাগের ৪৫ দিনের মাথায় ১৬ মে তিনি ফের দলে ফিরে আসেন।

হাসিব আল আমিন/আরএআর