কোম্পানীগঞ্জে ১৬৩ জনের নামে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার টেকের বাজারে পুলিশের ওপর ইট নিক্ষেপের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা হয়েছে। মামলায় ১৬৩ জন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
তারা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাদলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। শনিবার (১২ জুন) দিবাগত রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
বিজ্ঞাপন
তবে মামলার কোনো আসামিকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। রোববার (১৩ জুন) দুপুর ১২টায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) ফেরদৌসী বেগম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, শনিবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতা বাদলের ওপর হামলার জেরে তার অনুসারীরা উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজারের বসুরহাট থেকে পেশকার যাওয়ার সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
বিজ্ঞাপন
পরে এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজকে (৬৬) প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। নিরপরাধ কোনো মানুষ যেন মামলায় হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়েও সতর্ক রয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, শনিবার (১২ জুন) দুপুরে চরকাঁকড়া টেকের বাজারে মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। টেকের বাজারে হরতালের সমর্থনে বাদলের সমর্থকরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুলিশের গুলিতে বাদল-সমর্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফখরুল ইসলাম সবুজ (৫৫) ও তার ছেলে তরিকুল ইসলাম চয়ন (১৮) ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হন।
হাসিব আল আমিন/এমএসআর