আট দিন লড়লেন, তারপর হারলেন এসআই মনোয়ার
আট দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে অবশেষে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন নরসিংদীর রায়পুরায় ট্রেন-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে আহত এসআই মনোয়ার হোসেন (৪৬)।
সোমবার (১৪ জুন) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত ৬ জুন দিবাগত রাত ২টার দিকে রায়পুরা উপজেলার সাপমারা রেলক্রসিংয়ে ট্রেন প্রাইভেটকার সংঘর্ষে মনোয়ারসহ আরও দুইজন আহত হন।
বিজ্ঞাপন
মনোয়ার হোসেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি এলাকার সন্তান। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেলেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুন দিবাগত রাতে একটি প্রাইভেটকার ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে টহল দিচ্ছিল রায়পুরা থানা পুলিশ। প্রাইভেটকারটি নিয়ে রাত ২টার দিকে উপজেলার সাপমারা রেলক্রসিং অতিক্রম করতে গেলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং গাড়িতে থাকা তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পেছনে থাকা অটোরিকশা ও এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
পরে তাদের ঢাকায় নিয়ে আলাদা হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে মনোয়ারের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউয়ে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) রাখা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হলো।
রায়পুরা থানার সেকেন্ড অফিসার দেব দুলাল দে মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, অন্য সময় এই গেটে গেটম্যান থাকলেও সেদিন রাতে কাউকে দেখা যায়নি এবং গেট অরক্ষিত ছিল। আজ ভোরে ঢাকার একটি হাসপাতালে মনোয়ারের মৃত্যু হয়।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইনামুল হক সাগর ঢাকা পোস্টকে বলেন, রায়পুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীন মিয়া, মনোয়ার হোসেন ও কনস্টেবল সালাহ উদ্দিন এই তিনজন সেদিনের ঘটনায় আহত হন। এর মধ্যে মনোয়ারের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন ছিল।
রাকিবুল ইসলাম/এনএফ