গৃহবধূর ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ির নামে মামলা
যশোরে সুমাইয়া খাতুন নামে এক গৃহবধূর ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সদর উপজেলার গোয়ালদহ গ্রামের মুনসুর মৌলভীর মেয়ে ছায়রা বেগম বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন।
আদালতের বিচারক গোলাম কিবরিয়া মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী ছায়রা বেগম ভুক্তভোগীর সুমাইয়ার নানি।
বিজ্ঞাপন
আসামিরা হলেন- ঝিকরগাছা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের তবিবর রহমান, তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম এবং ছেলে রনি হোসেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ছায়রা বেগমের নাতনি সুমাইয়া খাতুনকে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে ২০২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে রনি হোসেনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর সুমাইয়া স্বামীর বাড়িতে সংসার শুরু করেন। এ সময় যাবতীয় গৃহস্থালি মালামাল দেওয়া হয়। কিছুদিন পর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন।
বিজ্ঞাপন
অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানার পর রনির পরিবার গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে সুমাইয়াকে চাপ দিতে থাকে। রাজি না হওয়ায় তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। পাশাপাশি দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতেও তাকে নির্যাতন করা হয়।
গত ১৫ জুলাই সকাল ১০টার দিকে রনি, তার মা ও বাবা মিলে সুমাইয়ার ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে সুমাইয়ার নানি সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। এরপর থেকে সুমাইয়ার স্বামী ও তার পরিবার কোনো খোঁজখবর নেয়নি।
এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ মামলা না নেওয়ায় বাদী ছায়রা বেগম আদালতে এ মামলা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার আইনজীবী মহিদুল ইসলাম জানান, গত ১৫ জুলাই সুমাইয়াকে নির্যাতন করেন তার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি। সেই নির্যাতনের ফলে গর্ভপাত হয় বলে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। বিচারক মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআইয়ের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
রেজওয়ান বাপ্পী/আরএআর