করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় মেহেরপুরের তিনটি গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। দুই সপ্তাহের জন্য তিনটি গ্রামের প্রবেশপথে বেরিকেড স্থাপন করা হয়। জরুরি প্রয়োজনে গ্রামের বাইরে যেতে হলে প্রশাসনিক অনুমোদন লাগবে।

সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে করোনা প্রতিরোধ মেহেরপুর জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনটি গ্রামকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। গ্রাম তিনটি হচ্ছে মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস, গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া ও হিন্দা।

মেহেরপুর সিভিল সার্জন অফিস জানা গেছে, জেলায় করোনাভাইরাসের প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে পারলেও বর্তমানে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। মানুষকে সচেতন করতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করাতেও হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

জনপ্রতিনিধিরাও প্রচার-প্রচারণা ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করলেও তা ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে প্রতিটি গ্রামে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। গ্রামের মানুষকে বাঁচাতে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। 

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম জানান, জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার (১৪ জুন) বিকেলে গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া ও হিন্দি গ্রামে প্রবেশ এবং গ্রামের মানুষকে বাইরে যাওয়ার নিষেধ করা হয়েছে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডাক্তার নাসির উদ্দিন জানান, গাংনী উপজেলার হিন্দা এবং তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামে অধিকাংশ মানুষই করোনা উপসর্গ নিয়ে চলাফেরা করছেন। ইতোমধ্যে হিন্দা গ্রামে একই দিনে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ জন এবং তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামে শনাক্ত হয়েছেন ১৭ জন।

জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান বলেন, মঙ্গলবার থেকে তিনটি গ্রামের মানুষকে বাইরে চলাফেরা এবং বহিরাগতদের গ্রামে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এমএসআর