কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ পুরো এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকার একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে। গত ২০ জুলাই, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে এই টাস্কফোর্স কার্যক্রম শুরু করে।

সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত এই টাস্কফোর্স গত এক মাসে সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করে ২১ লাখ ৭৯ হাজার ইয়াবা, ২ কেজি ৫৮৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ, ১ হাজার ৪৯২.৫ লিটার বাংলা মদ, ৭৩৫ ক্যান বিয়ার এবং ৩৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে।

এ ছাড়া, এসব অভিযানে আটক ৩৪২ জন মাদক কারবারির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এই টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে আছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মিনহাজুল আলম।

রোববার (২৪ আগস্ট) কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপপরিচালক সোমেন মন্ডল।

তিনি বলেন, কক্সবাজার সীমান্তকে মাদক কারবারিরা দীর্ঘদিন ধরে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। টাস্কফোর্স গঠনের পর সমন্বিত অভিযান জোরদার হয়েছে এবং ইতোমধ্যেই বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করা সম্ভব হয়েছে।

শুধু আইন প্রয়োগ নয়, সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে তিনি আরও বলেন, শিক্ষক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ধর্মীয় নেতাদের সক্রিয় ভূমিকা ছাড়া এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। আমরা গণমাধ্যমের সহযোগিতাও প্রত্যাশা করছি।

গত ১৪ জুলাই কক্সবাজার বিয়াম আঞ্চলিক কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

সমন্বিত নজরদারি ও অভিযান পরিচালনা, মাদক প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা তৈরি এবং মাদক-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা—এই তিনটি লক্ষ্য নিয়ে টাস্কফোর্স তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে জানান সদস্য সচিব সোমেন মন্ডল।

এএমকে