চুয়াডাঙ্গায় চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে এক স্বেচ্ছাসেবককে বেধড়ক মারপিট করেছেন রোগীর স্বজনরা। মঙ্গলবার (১৫ জুন) জেলা সদর হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। মারপিটের পর অভিযুক্তরা দ্রুত সদর হাসপাতাল ত্যাগ করেন।

ওই স্বেচ্ছাসেবকের নাম সজিব। তিনি সদর হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে কর্মরত। কয়েকদিন ধরে তিনি জ্বরে আক্রান্ত। ওইদিন বিকেলে তার ডিউটি থাকায়, দুপুরে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে না গিয়ে হাসপাতালে ছিলেন।

সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে কলোনীপাড়ার মৃত কুবাদ আলীর স্ত্রী হার্টের সমস্যা নিয়ে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসে। তাকে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়। সেখানে গিয়ে কাউকে না পেয়ে রোগীর ছেলে নাজমুল পাশের পুরুষ ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক সজিবকে ডাকে। আসতে পারবে না বললে, নাজমুল ও তার এক সহযোগী ওয়ার্ডের মধ্যেই সজিবকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে।

এ ঘটনায় আশেপাশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ফাতেহ আকরাম ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে অভিযুক্ত নাজমুল ও তার সহযোগী পালিয়ে যান।

ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা নার্স বলেন, হাসপাতালে নার্স সংকট। একজন নার্স দিয়েই পুরো ওয়ার্ড দেখাশোনা করতে হয়। সঙ্গে থাকা স্বেচ্ছাসেবক কাল আসেনি। তখন আমি অন্য রোগী দেখতে গিয়েছিলাম।

এদিকে রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা শেষে তাকে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানে কোনো নার্স বা স্বেচ্ছাসেবক ছিল না।

তারা আরও বলেন, আমাদের রোগী ছটফট করছিল। এ সময় ওয়ার্ডে কোনো নার্স না থাকায় রাগান্বিত হয়ে ওই স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবক সজিব বলেন, আমি কয়েকদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। আমার ডিউটি বিকেলে থাকায় দুপুরে চিকিৎসা নেওয়ার পর হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ছিলাম। এ সময় দুজন লোক এসে আমাকে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে যেতে বলে। আমি অসুস্থতার কথা জানালে তারা আমাকে বেদম মারপিট করে।

এ বিষয়ে ডা. ফাতেহ আকরাম বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি জানার পরই রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনদের মাধ্যমে অভিযুক্তদেরকে ডাকা হয়। তারা হাজির হলে বিষয়টি সমাধান করা হয়। এ ঘটনায় তারা অনুতপ্ত।

আফজালুল হক/এমএইচএস