জামালপুরে আয়েশা খন্দকার (২২) নামে এক গৃহবধূ স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার জন্য স্বামী তানজিদ ইসলাম অন্তর জামালপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে জামালপুর পৌর শহরের পাথালিয়া বকুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

তানজিদ ইসলাম অন্তর জামালপুর পৌরশহরের পাথালিয়া এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি এনজিওতে চাকরি করেন। চার বছরের সংসার ছেড়ে স্ত্রী চলে যাওয়ার পর থেকে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন স্বামী তানজিদ ইসলাম অন্তর ।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪ বছর আগে জামালপুর পৌর শহরের কাজির আঁখ এলাকার খন্দকার আমিনুল ইসলামের মেয়ে আয়েশা খন্দকারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তানজিদ ইসলাম অন্তরের। বিয়ের পর দুই বছর সংসার ভালোই চলছিলো। দুই বছর পর তার স্ত্রী আয়েশা খন্দকার শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজে ডিগ্রিতে শ্রেণিতে ভর্তি হন। কলেজে যাওয়ার পর পরিচয় হয় একই শ্রেণির শহরের দাপুনিয়া এলাকার উৎসব নামের এক যুবকের সাথে। তার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আয়েশা। এরপর থেকে আয়েশা খন্দকার তার স্বামী অন্তরের সাথে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন।

এদিকে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন অন্তর ও আয়েশা। বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে জেগে দেখেন পাশে স্ত্রী নেই। ঘরের কাপড় ও আসবাবপত্র এলো মোলো। এরপর থেকে তার স্ত্রী আয়েশা খন্দকার ও তার কথিত প্রেমিকের মোবাইল বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন খোঁজাখুঁজি করে স্ত্রীকে না পেয়ে অবশেষে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। আয়েশা নগদ দুই লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণ নিয়ে উধাও হয়ে গেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

তানজিদ ইসলাম অন্তর বলেন, আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই সে (আয়েশা) আমার সাথে খারাপ আচরণ শুরু করে। নানা অজুহাতে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেনি। আমি তাকে অনেক ভালোবাসি, যখন যা চেয়েছে আমি তাই দিয়েছি। তবুও সে আমাকে ছেড়ে গেল।

জামালপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক জানান, স্ত্রী চলে গেছে এই মর্মে অন্তর নামে একজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মুত্তাছিম বিল্লাহ/আরএআর