কুমিল্লায় ভাড়া বাসা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১টা থেকে কুমিল্লা নগরীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মূল ফটক অবরোধ করছেন তারা।

এর আগে, সোমবার দুপুরে সুমাইয়া আফরিন ও তার মায়ের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে অবরোধ তুলে নিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নির্ধারিত সময় পার হওয়ায় ফের অবরোধ করা হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মূল ফটকের সড়কে বসে নানান স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ‘আমার বোন কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘আমার বোন মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার বোনের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না’, ‘প্রশাসন প্রশাসন, ভুয়া ভুয়া’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুপুর আড়াইটার দিকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আর নিজ কার্যালয়ে অবস্থান করছেন পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান। পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনের সড়কে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা। এ অবস্থায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ঢুকতে পারছেন না কোনো সেবাগ্রহীতা।

এ বিষয়ে বক্তব্য চাইলেও পুলিশের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।

প্রসঙ্গত, সোমবার ভোরে কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুড়ি এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে মা এবং মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন, কুমিল্লা নগরীর সুজানগর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী তাহমিনা বেগম (৪৫) ও তার মেয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে আব্দুর রব নামের এক কবিরাজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।

আরিফ আজগর/এএমকে