জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতার মরদেহ পাবনায় এসে পৌঁছেছে।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে শহরের কাচারি পাড়া এলাকায় লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে তার মরদেহ পৌঁছায়। মৃত্যুর পর ক্যাম্পাসে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে, সকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সময় মৌমিতা মৃত্যু হয়।

এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। তার মরদেহ এক নজর দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন ভীর করছে। মরদেহ দেখতে আসা আফরোজা আখতার নামের একজন বলেন, ছোটবেলা থেকেই ওনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। নম্র ভদ্র ছিল। কারও সঙ্গে কোনদিন খারাপ আচরণ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে সুনামের সঙ্গে শিক্ষকতা করছেন। তার মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আল্লাহ যেন জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।

মৌমিতার বাড়ি পাবনা শহরের কাচারি পাড়ায়। তিনি পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক ও বর্তমানে ইত্তেফাকের পাবনা জেলা প্রতিনিধি রুমি খন্দকারের একমাত্র মেয়ে। জান্নাতুল ফেরদৌস জাকসু ও প্রীতিলতা হল সংসদ নির্বাচনে পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বাবা রুমি খন্দকার বলেন, পৌর মহল্লা কাচারীপাড়া মসজিদে এশার নামাজের পর তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে পাবনার আরিফপুর কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।

তিন আরও বলেন, নির্বাচনের দায়িত্ব শেষে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শিক্ষক কোয়ার্টারে তার বাসায় গিয়েছিল। পরে সকালে যখন তাকে নির্বাচনের ভোট গণনার কক্ষে ডাকা হয়েছিল, তখন সেখানে যায়। কিন্তু কক্ষে ঢোকার আগে দরজার সামনেই সে পড়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়। গতকাল ভোটগ্রহণের পর আমার সঙ্গে ওর কথা হয়। ও নির্বাচন নিয়ে বেশ খুশি ছিল।

রাকিব হাসনাত/এএমকে