নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার হত্যা মামলার আসামি আবুল কালাম (৪৭) যাবজ্জীবনের সাজা এড়াতে টানা ১২ বছর পলাতক ছিলেন।  অবশেষে র‍্যাবের বিশেষ অভিযানে ধরা পড়লেন তিনি।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কালামকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর আগে র‍্যাব-১১ ও র‍্যাব-৭ যৌথ অভিযানের মাধ্যমে চট্রগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি।

আবুল কালাম নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের চরক্লার্ক গ্রামের মৃত আবদুল্যাহ’র ছেলে।

র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত)  এবং সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু ঢাকা পোস্টকে বলেছেন, ২০১৪ সালের একটি হত্যা মামলায় নোয়াখালীর দায়রা জজ আদালত আবুল কালামকে হত্যা মামলায় দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ, শুনানি ও বিচার শেষে আদালত তাকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। রায় ঘোষণার পর থেকেই তিনি পরিচয় গোপন করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আবুল কালাম নিজের পরিচয় প্রকাশ করে এবং যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তাকে আইনানুগ প্রক্রিয়ার জন্য চরজব্বর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

“আসামি দীর্ঘ ১২ বছর বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন ছিলেন। বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে তাকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থানার এনাম নাহার পূর্ব মাথা এলাকার টুটুল এন্ড ব্রাদার্স দোকানের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে”, ঢাকা পোস্টকে বলেন মিঠুন কুমার কুন্ডু

হাসিব আল আমিন/এসএমডব্লিউ