কয়েক দিন ধরে ঠাকুরগাঁওয়ে বেড়েই চলছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। করোনার এই সংক্রমণ ঠেকাতে জেলায় আগামীকাল (১৭ জুন) থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

বুধবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ জারি করা হয়। এর আগে দুপুরে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলায় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট-বিপণিবিতান খোলা রাখা যাবে। হোটেল-রেস্তোরাঁ বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে শুধু পার্সেল বা অনলাইনে অর্ডার করে খাবার বিক্রয় করা যাবে।

এছাড়া সব গরুর হাট-বাজার, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, বিনোদনকেন্দ্র এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। গণপরিবহন আসনসংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি নজরদারি করবে, কাঁচাবাজার ও মাছবাজার স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, ১৬ জুন ঠাকুরগাঁও জেলায় নতুন ৪৭ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ২৬ জন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১২ জন, রানীশংকৈলে ৩ জন, পীরগঞ্জ উপজেলায় ৪ জন এবং হরিপুরে ২ জন রয়েছেন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় সর্বমোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ১৫৭ জন। যাদের মধ্যে ১ হাজার ৬২৩ জন সুস্থ হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৫১ জন।

ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, কিছু দিন ধরেই জেলায় করোনার প্রকোপ বেড়েই চলছে। মানুষকে সচেতন করতে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় বিধিনিষেধ কঠোরভাবে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ৭ দিন এই বিধিনিষেধ থাকবে।

নাহিদ রেজা/এমএসআর