সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত বিলাঞ্চল পংখারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কে. এম. রহমতুল বারী ২০২৫ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রোজিনা আক্তার এ ঘোষণা দেন।

বিদ্যালয়টি এক সময় ছনের ঘরে যাত্রা শুরু করলেও আজ এটি শিক্ষার আলো ছড়ানো এক আধুনিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস, আইসিটির ব্যবহার, নিয়মিত সমাবেশ, স্কাউটিং, খেলাধুলাসহ নানা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত অংশ নিচ্ছে। বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও শৃঙ্খলা আজ সারা এলাকার জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। আর এই পরিবর্তনের পেছনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছেন প্রধান শিক্ষক কে. এম. রহমতুল বারী।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ বলেন, রহমতুল বারী সিরাজগঞ্জের শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এখন বিভাগীয় পর্যায়ে জেলার প্রতিনিধিত্ব করবেন।

উল্লাপাড়া উপজেলার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন বলেন, আমার উপজেলা থেকে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন রহমতুল বারী। যা এই উপজেলার শিক্ষার মানোন্নয়ন এর ধারাকে আরও তুরান্বিত করবে। এই শিক্ষকের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই। 

২০০৩ সালে চৈত্রহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন রহমতুল বারী। পরে ২০১৮ সালে পংখারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি উল্লাপাড়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক ও পরে সিরাজগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তিনি গয়হাট্টা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, শাহজাদপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি, সরকারি আকবর আলী কলেজ থেকে স্নাতক এবং টাঙ্গাইল শাহাদত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। পারিবারিকভাবেও শিক্ষা পেশার সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে—তার বাবা কে. এম. সিরাজুল ইসলামও শিক্ষক ছিলেন এবং সম্প্রতি কয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন।

অসংখ্য প্রতিকূলতার মাঝেও শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া পংখারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ জেলার সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। আর সেই বিদ্যালয় থেকেই উঠে এলেন সিরাজগঞ্জের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক রহমতুল বারী।

নাজমুল হাসান/এমএএস