অভিযুক্ত প্রীতিশ দাস

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ব্যাংক থেকে চেকের মাধ্যমে দোকান মালিকের টাকা তুলে প্রীতিশ দাস (৪০) নামে এক কর্মচারী পালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলার জলিরপাড় বাজারের মা কালি শঙ্খ ভান্ডার ও ভ্যারাইটিজ স্টোরের মালিক সজল কীর্ত্তনিয়া বাদী হয়ে গত ১৪ জুন গোপালগঞ্জ আদালতে মামলা করেছেন।

অভিযুক্ত প্রীতিশ দাস জলিরপাড় ইউনিয়নের বানিয়ারচর গ্রামের যদুনাথ দাসের ছেলে।  

বাদীপক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক খোকন জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধ সমন জারি করেছেন। 

মামলার বিবরণে জানা গেছে, জলিরপাড় বাজারে সজল কীর্ত্তনিয়ার কসমেটিক্সের দোকানে ২০২০ সাল থেকে প্রীতিশ ২০ হাজার টাকা বেতনে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছেন। 

মালিকের অনুপস্থিতিতে প্রীতিশ নিজেই দোকান পরিচালনা ও আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখতেন। বিশ্বস্ততার কারণে দোকান মালিক সজল ব্যাংকে টাকা লেনদেন ও দোকানের মালামাল কেনাকাটা করতে প্রীতিশকে পাঠাতেন। গত ৩ জুন দোকান মালিক সজল অগ্রণী ব্যাংকের জলিরপাড় বাজার শাখা থেকে প্রীতিশকে তিন লাখ টাকা উত্তোলনের জন্য পাঠান। 

পরে ব্যাংক থেকে প্রীতিশ ফিরে না আসায় তার মুঠোফোনে কল দিয়ে বন্ধ পান সজল। পরে ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে সজল জানতে পারেন প্রীতিশ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে চলে গেছেন। এরপর প্রীতিশের বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলে পরিবারের লোকজন কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে প্রীতিশের কর্মকাণ্ডে দোকান মালিকের আরও সন্দেহ হলে তিনি দোকানের হিসাব মিলিয়ে দেখেন সেখান থেকেও প্রীতিশ গত ৬ মাসে প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল আত্মসাৎ করেছেন। যা ওই বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছেন প্রীতিশ।

এদিকে প্রীতিশের বিরুদ্ধে মামলা করায় পল্টন থানার ওসি (অপারেশন) হিরোনময় বাড়ৈ পরিচয়ে দিয়ে এক ব্যক্তি মোবাইলে মামলার বাদী সজলকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া, মামলা দেওয়াসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে

এদিকে অভিযুক্ত প্রীতিশ দাসের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন।

আরএআর