ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, দেশের স্বার্থে সবাইকে সংকীর্ণ ও হিংস্র দলীয়পনার ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্যের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, আমরা জাতির কাছে ডাকসু নির্বাচনটি গ্রহণযোগ্য করে সম্পন্ন করতে পেরেছি এবং এতে বহু মানুষের অবদান আছে, আল্লাহর রহম আছে। আমার বিভিন্ন সময়ে নোবিপ্রবির উপাচার্য এবং শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। এই ডাকসু প্রক্রিয়াটিও তারা আমাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক শুভেচ্ছা ও পরামর্শ দিয়ে পাশে ছিলেন।

তিনি বলেন, আমি মনে করি ছাত্রদের মতপ্রকাশ, তাদের গণতান্ত্রিক চর্চা, নেতৃত্বের চর্চা—এই জাতীয় কাজগুলো চালিয়ে নিতে হলে একরম আলোচনার জন্য, অংশগ্রহণের জন্য কিছু প্রাতিষ্ঠানিক রূপ প্রয়োজন। সেটি ধীরে ধীরে এই বিশ্ববিদ্যালয় উপলব্ধি করবে বলে আমি আশা করি। আমাদেরকে দেশের স্বার্থে সংকীর্ণ, হিংস্র, দলীয়পনার ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, আমরা দেখেছি, গণরুম থেকে আরম্ভ করে বিবর্তনমূলক বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হল পর্যায়ে ছিল। সেটি কাটিয়ে উঠে এখন আমরা তুলনামূলকভাবে একরকম শৃঙ্খলা এবং স্থিতিশীলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। এতে সাংবাদিদের একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে। আমি সেক্ষেত্রে অকুণ্ঠ চিত্তে স্মরণ করি।

নোয়াখালীর আতিথিয়েতা দেশ সেরা উল্লেখ করে ঢাবি উপাচার্য বলেন, নোয়াখালীর প্রতি আমাদের আলাদা মমতা আছে। এই এলাকা আমার নানার বাড়ি। ঐতিহাসিকভাবে নোয়াখালীর মানুষ ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করে কঠিন সংগ্রামের মাধ্যমে টিকে থাকার ইতিহাস তারা যুগে যুগে তৈরি করেছে। আমার কাছে ভালো লেগেছে। এই এলাকা অত্যন্ত সংগ্রামী। নোয়াখালীর আতিথিয়েতা দেশ সেরা।

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল, নোবিপ্রবি ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. শিবলুর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

হাসিব আল আমিন/এএমকে