নোয়াখালীর সদর উপজেলায় জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের জেরে জেলা শহরে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।  রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে পৃথক সময়ে এ কর্মসূচি পালন করে উভয় দল। এ সময় তারা দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।

জানা গেছে, প্রথমে জামায়াতের নেতাকর্মীরা জেলা বড় মসজিদ মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সুপার মার্কেটের সামনে এসে শেষ হয়। পরবর্তীতে একই স্থান থেকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহর প্রদক্ষিণ শেষে সুপার মার্কেটের সামনে সমাবেশ করে। এ সময় উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জামায়াত নেতারা অভিযোগ করেন, গতকাল শনিবার নেয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেমবাজার জামে মসজিদে ছাত্রশিবির আয়োজিত দারসুল কুরআন অনুষ্ঠানে যুবদল নেতাদের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার আসরের নামাজের পর পুনরায় কুরআন তালিমের আয়োজন করা হলে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আবারও হামলা চালিয়ে শিবির কর্মীদের মসজিদের ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখে। ইটপাটকেল নিক্ষেপে অন্তত ২৫ জন আহত হন। আহতদের নিতে অ্যাম্বুলেন্স গেলে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তারা। বক্তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।

অন্যদিকে বিএনপি নেতারা তাদের সমাবেশে বলেন, জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে পরিকল্পিতভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করে এলাকায় অস্থিরতা বাড়ানো হয়েছে। তাদের অনেক নেতাকর্মী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উল্টোভাবে তাদের (জামায়াত-শিবির) ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা চলছে। 

বক্তারা বলেন, নামাজ শেষে মসজিদ থেকে হামলা হয়েছে। যুবদলের সাবেক সভাপতি ফারুকের দুই ভাইসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। মসজিদের ভেতর থেকে বারবার হামলা করা হয়েছে। আমরা এমন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রোববার আছরের নামাজের পর দারসুল কুরআন শুরু হলে বাহির থেকে স্লোগান দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারপর উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। 

এ বিষয়ে সুধরাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, উভয় দলের নেতারা পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ও অভিযোগে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হলেও রাতেই পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।

হাসিব আল আমিন/আরএআর