সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কিশোরীকে শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ধর্ষণের বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ ভুক্তভোগীর পরিবার।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়। সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।

হাসপাতালের গাইনী বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক পার্থ সাহা বলেন, ওই কিশোরীর বিশেষ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত ছিল, সেটি রিপেয়ার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বলা যায়, জোর করে শারীরিক সম্পর্কের কারণেই বিশেষ অঙ্গ এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই কিশোরীকে যখন ভর্তি করা হয় তখন একজন পুলিশ সদস্য এসেছিলেন। তবে কিশোরীর পরিবার বলেছিলেন, ওই পুলিশ সদস্য তাদের আত্মীয়।

এদিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, কিশোরীর সঙ্গে থাকা এক নারী যিনি নিজেকে তার মা হিসেবে পরিচয় দেন। তবে তিনি নিজের নাম বা পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছা জানান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের কাউকে প্রয়োজন নেই। আমাদের নিজেদের মধ্যে সমস্যা, আমরা নিজেরাই সমাধান করবো।

অপারেশন রুমে দায়িত্বে থাকা নার্স সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের পরিচালক স্যারের সঙ্গে কথা বলুন। তিনি সব জানবেন। তবে শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ. টি. এম. নুরুজ্জামান বলেন, আমি এই রোগীর বিষয়ে অবগত নই। আগে বিস্তারিত জানতে হবে। আপনারা আগামীকাল আসুন।

কামারখন্দ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ওই কিশোরী এখন হাসপাতালে রয়েছে। আমরা মামলা নেব। তদন্ত চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কামারখন্দ উপজেলার কর্ণসূতি গ্রাম থেকে সিএনজি করে কিশোরীকে তুলে নিয়ে জামতৈল রেলস্টেশনের পূর্বপাশের একটি ঘরে ধর্ষণ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, ধর্ষণের আগে অভিযুক্ত যুবক উত্তেজক ওষুধ সেবন করেন এবং বেপরোয়া যৌন নির্যাতনের কারণে কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

নাজমুল হাসান/এমএএস