ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে যশোরে পুত্রবধূসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) সদর উপজেলার চাউলিয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।

বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার মন্ডল মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার আইনজীবী মুন্সী আনিছুর রহমান।

মামলার আসামিরা হলেন– জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার ভিটাবল্লা গ্রামের মুক্তার ফকির ও তার স্ত্রী ছায়মা বেগম, মেয়ে আমেনা খাতুন (বাদীর পুত্রবধূ) এবং একই গ্রামের হাতেম মোল্যার ছেলে নুর আলম।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, বাদী মনোয়ারা বেগমের ছেলে গ্রিস প্রবাসী জুনায়েদ হোসেনকে ৭ মাস আগে পারিবারিকভাবে আসামি আমেনা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে দেন। জুনায়েদ হোসেন গত ৮ আগস্ট ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হন তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। গত দুই সপ্তাহ আগে জুনায়েদ হোসেন তার কর্মস্থল গ্রিসে ফিরে যান। এসময় আমেনা খাতুন জুনায়েদের বাড়িতে ছিলেন।

গত ১১ অক্টোবর আমেনা খাতুনের বাবা ও মা মেয়ের জামাই বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এসময় তারা মেয়েকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান। ১৬ অক্টোবর মনোয়ারা বেগম লোকমারফত জানতে পারেন আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় আমেনা খাতুনের গর্ভপাত ঘটিয়েছেন। ১১ অক্টোবর আমেনাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে আসামিরা যশোর শহরে অপরিচিত নার্স দিয়ে গর্ভপাত ঘটান।

এ ঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় অভিযোগ দিলে মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় পুলিশ। তাই বাধ্য হয়ে তিনি পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে আদালতে এ মামলাটি করেছেন।

রেজওয়ান বাপ্পী/এসএসএইচ