কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক অনুষ্ঠানে দেরিতে উপস্থিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ পরিচালনা বিষয়ে একটি বিশেষ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভার নির্ধারিত সময় ছিল বিকেল ৪টা।

সময়ের আগেই সাংবাদিকসহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা সভাস্থলে উপস্থিত হলেও বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান শুরু হয়নি, কারণ জেলা প্রশাসক তখনও উপস্থিত ছিলেন না।

জানা গেছে, সভাটি কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এতে সভাপতিত্ব করার কথা ছিল জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খানের। নির্ধারিত সময়ের আগেই জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা সভাস্থলে পৌঁছে যান, কিন্তু বেলা ৫টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক আসেননি।

সাংবাদিকরা পরে জানতে পারেন, জেলা প্রশাসক কয়েকজনকে নিয়ে নিজ কক্ষে একটি গোপন বৈঠকে ব্যস্ত রয়েছেন এবং সেই বৈঠক শেষে তিনি সভায় যোগ দেবেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর সাংবাদিকরা বিষয়টি জানতে জেলা প্রশাসকের কক্ষে প্রবেশ করতে চাইলে অফিস সহকারীরা তাদের বাধা দেন। এ সময় জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. রিয়াদ হোসেন বাইরে এলে সাংবাদিকরা তাকে জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানানোর অনুরোধ করেন। এনডিসি খবর দেবেন বলে ভেতরে যান। পরে তিনি আর বাইরে না এসে অন্য দরজা দিয়ে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ করেন।

এ ঘটনায় উপস্থিত অতিথি ও সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন জেলা প্রশাসক যদি নিজেই সময়ের গুরুত্ব না দেন, তবে সাধারণ মানুষ বা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কিভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ হবেন? তিনি যদি গোপন বৈঠকে থাকেন, সেটি সবাইকে জানাতে পারতেন। কিন্তু কাউকে কিছু না জানিয়ে সবাইকে বসিয়ে রেখে বৈঠকে অংশ নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

পরে জেলা প্রশাসক সভাকক্ষে উপস্থিত হলে সাংবাদিকরা নির্ধারিত সময়ের এত দেরি হওয়ার কারণ জানতে চান। তবে জেলা প্রশাসক কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। এমনকি সাংবাদিকরা কক্ষের বাইরে অবস্থান করছেন এ বিষয়েও তিনি অবগত নন বলে জানান।

এনামুল হক হৃদয়/এআরবি