নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হলে ৩০ দিনের মধ্যে তা জানালে সরকার ক্ষতিপূরণ দেয়। অনেকেই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না। আমরা চাই, সবাই এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি জানুক। দুর্ঘটনার প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে সরকার ১ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ আরও বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনার প্রায় ৮০ শতাংশই চালকদের অসচেতনতার কারণে ঘটে। রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি ও অটোরিকশা বর্তমানে বড় ধরনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে দখলকৃত ফুটপাত উচ্ছেদে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চালকদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ, সড়ক অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি নিরাপদ সড়কব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। তবে এ কাজে জনসচেতনতা এবং সকলের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন- তা আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে।

এর আগে, ‘মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নোয়াখালীতে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন করা হয়।

জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএর যৌথ উদ্যোগে বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালির মাধ্যমে দিবসটির উদ্বোধন করা হয়। র‍্যালিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার দাসের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. লিয়াকত আকবর, নোয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন, বিআরটিএ নোয়াখালী সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মাহবুব রাব্বানী, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সুজিত রায়সহ পরিবহন মালিক সমিতি ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও সভায় চালক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে চালকদের মধ্যে বিনামূল্যে হেলমেট বিতরণ করা হয়।

হাসিব আল আমিন/এআরবি