‘দেশ হোক সকল প্রাণের নিরাপদ আবাসস্থল’– এই স্লোগানকে সামনে রেখে কক্সবাজারে ঘোড়ার জন্য সুষম খাদ্য বিতরণ ও অসুস্থ ঘোড়াদের চিকিৎসা করেছে বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায়– কক্সবাজারে ঘোড়াসহ অভুক্ত প্রাণীর পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। 

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সংগঠনটির একটি দল কক্সবাজারের কলাতলীসহ সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন স্থানে ঘোড়ার জন্য সুষম খাদ্য বিতরণ ও অসুস্থ ঘোড়াদের চিকিৎসা করেছে। 

প্রাণীকূলের জন্য এমন সেবামূলক কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিয়েছেন– বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন।

সংগঠনটি প্রাণীদের কল্যাণে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে আসছে। আহত প্রাণী উদ্ধার, চিকিৎসা, খাদ্য বিতরণ এবং জলাতঙ্ক প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি– এইসব কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় সংস্থাটি এবার সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও কক্সবাজারে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।

জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. আতিকুর রহমান মিঠু, ডা. সাখওয়াত হোসেন (প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা) ও ডা. মাহবুবুর রহমানের (ভেটেরিনারি সার্জন) সমন্বয়ে গঠিত ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কক্সবাজারে প্রায় ৫০টি অসুস্থ ঘোড়ার টিকিৎসা দেন।

এছাড়া, আগামীকাল শুক্রবার ও শনিবার (২৪ অক্টোবর ও ২৫ অক্টোবর) কক্সবাজারে পরিত্যক্ত ও অসুস্থ ঘোড়াদের চিকিৎসা এবং সুষম খাদ্য দেবে সংগঠনটি। এই কার্যক্রমে একটি বিশেষজ্ঞ প্রাণিচিকিৎসক দলও অংশ নিয়েছেন।

বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক আদনান আজাদ জানান- প্রথম ধাপ এক সপ্তাহ চললেও সরকারি অনুমতি পেলে কার্যক্রমটি আরও বিস্তৃত করা হবে।

কক্সবাজারের কলাতলীসহ সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন স্থানে ঘোড়ার জন্য সুষম খাদ্য বিতরণ ও অসুস্থ ঘোড়াদের চিকিৎসাকালে উপস্থিত ছিলেন– বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক আদনান আজাদ, সংগঠনটির সদস্য ইমরান রাশেদ সিমান্ত সরকার, তৌফিক সিতু, শুভব্রত সরকার, মিজানুর রহমান তাসিব, ফয়সাল বিন আজম।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন– মহিউদ্দিন মাহিন, শামীম মিয়া, মোহাম্মদ ফরিদ ও মশিউর রহমান মহান প্রমুখ। 

প্রসঙ্গত, বুধবার (গতকাল) সেন্ট মার্টিন দ্বীপে গিয়ে অভুক্ত কুকুরদের জন্য সুষম খাদ্য বিতরণ করে বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।

পরিবেশ সংরক্ষণে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রেখে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সংগঠনের সদস্যরা আশাবাদী, এই উদ্যোগ দেশের মানুষকে প্রাণীর প্রতি সহমর্মিতা ও দায়িত্ববোধে অনুপ্রাণিত করবে।

বিআরইউ