নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে কিশোর মারওয়ান হোসেন বিজয়কে তিন শতাধিক কোপ দিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলার প্রধান আসামি দেলোয়ার বাহিনী’র সদস্য মাহবুব রহমান রুবেল ওরফে বড়তেকে (৪১) কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। 

এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঘটলা এলাকার কাশেম মঞ্জিল নামক বাড়ির সামনে পাকা রাস্তা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী।

কারাগারে প্রেরণকৃত মাহবুব রহমান রুবেল বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের নকু বেপারী বাড়ির শাহ আলমের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, গত ৩ অক্টোবর রাতে বেগমগঞ্জের একলাশপুর এলাকায় দেলোয়ার বাহিনীর সক্রিয় সদস্যরা মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে কিশোর বিজয়ের পথরোধ করে। এ সময় রামদা, ছোরা, চাইনিজ কুড়ালসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে উপর্যুপরি তিন শতাধিক কোপ মারা হয়। গুরুতর জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বিজয়। হামলাকারীরা এ সময় এক সাক্ষীকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় বিজয়কে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বোন শাহানাজ আক্তার সুবর্ণা বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় দেলোয়ার বাহিনীর একাধিক সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখ করা হয়। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিল। তবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালীর একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় রুবেলকে গ্রেপ্তার করতেসক্ষম হয়। এর আগে একই বাহিনীর সদস্য এজাহারনামীয় আসামি শুভ ও  সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শুভ তার নাম-পরিচয় ও ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. জিয়াউল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলার এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিরা পলাতক রয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে র‍্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় র‍্যাবের এ ধরনের অভিযান চলবে।

হাসিব আল আমিন/আরকে