রংপুর হিমাগারে ডাকাতের হানা, লুটের পর নিয়ে গেছে সিসিটিভির ডিভিআর
রংপুর মহানগরীতে একটি হিমাগারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ ডাকাত দলটি হিমাগারে হামলার পাশাপাশি কর্মরত স্টাফদের হাত-পা বেঁধে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তাজহাট থানাধীন ধর্মদাস বারো আউলিয়া এলাকার ‘রংপুর হিমাগারে’ ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে হিমাগারের মালিক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তার অভিযোগ, শুক্রবার রাত আনুমানিক ২টা থেকে সাড়ে ৩টার দিকে ডাকাতির এ ঘটনাটি সংঘটিত হয়।
কর্মচারীদের উদ্ধৃতি দিয়ে মিজানুর রহমান জানান, ১৫-২০ জন অজ্ঞাতনামা ডাকাত বাঁশের তৈরি মই ব্যবহার করে হিমাগারের পেছন দিক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে।
তারা হাসুয়া, রামদা, বল্লামসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ছিল। হিমাগারের ভেতরে প্রবেশ করে নাইটগার্ড, ড্রাইভার ও অন্যান্য কর্মচারীদের মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হাত-পা বেঁধে ফেলে।
বিজ্ঞাপন
এ সময় পেপসিকো কোম্পানির সাব্বির ও সবুজ আলীর কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা এবং অন্যান্য কর্মচারীদের কাছ থেকে আরও ২৫ হাজার টাকা লুট করে। পরবর্তীতে হিমাগারের ব্যবস্থাপনের কক্ষের ফাইল কেবিনেট ও টেবিলের ড্রয়ার ভাঙচুর করে কোনো নগদ অর্থ না পেয়ে ডাকাতরা চলে যাওয়ার সময় সিসিটিভি’র ডিভিআর খুলে নিয়ে গেছে।
হিমাগারটির ভুক্তভোগী কর্মচারী সাহেব আলী, ইলতুত মিয়া, রিয়াজুল, দুলাল, ট্রাকচালক বাবু জানান, ডাকাতদের কথাবার্তায় স্থানীয় ভাষার পাশাপাশি কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া ও ঢাকাইয়া ভাষার সংমিশ্রণ শোনা গেছে। তাদের প্রত্যেকের মুখ কাপড়ের তৈরি মাস্কে ঢাকা ছিল। নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা লুট করা ছাড়াও পাঁচটি মোবাইল ফোন এবং সেটসিসিটিভি’র ডিভিআর সেট নিয়ে গেছে ডাকাতরা।
এদিকে, এ ঘটনার খবর পেয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওসি শাজাহান আলী জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএএস