নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ট্রাকচাপায় অটোরিকশাচালক ও যাত্রীসহ ছয়জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাঁচজনের শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দিনব্যাপী নিহতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের পরিবারের হাতে তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তা তুলে দেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে জেলা শহর মাইজদী থেকে বসুরহাটগামী একটি অটোরিকশা ৫ জন যাত্রী নিয়ে রওনা দেয়। পথে কবিরহাট পৌরসভার আলিয়া মাদরাসা এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক্সেল ভেঙে যায় এবং গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত লেনে চলে যায়। ঠিক তখনই বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দিয়ে প্রায় ২০০ মিটার টেনে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৩ জন মারা যান এবং বাকিদের হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে নিহত অটোরিকশা চালক খোকনের ছেলে ফিরোজ আলম আবিদ বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় সড়ক দুর্ঘটনা আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘাতক চালক আব্দুল জাহেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেন।

নিহতেরা হলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা অটোরিকশা চালক খোরশেদ আলম খোকন, ছাত্রী ইসরাত জাহান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিবি কুলসুম, জান্নাত,  সুমন ও সেনবাগ উপজেলার বাসিন্দা তানিম হাসান। ঘটনার পর থেকে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে, স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে পুরো গ্রাম।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রিয়জন হারানোর শোক কোনো অর্থেই পূরণ হওয়ার নয়। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা চেষ্টা করছি এই কঠিন সময়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে। মানবিক সহায়তার পাশাপাশি ভবিষ্যতে সরকারি বিভিন্ন সহযোগিতা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বাত্মক ভূমিকা রাখব।

তিনি আরও বলেন, নিহতদের পরিবার যাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ক্ষতিপূরণ তহবিল ও জেলা প্রশাসনের আর্থিক সহায়তা দ্রুত পায়, সে বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

হাসিব আল আমিন/আরকে