অবশেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চালু হলো অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি) সেন্টার। শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে রামেক হাসপাতালের বহির্বিভাগে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম শামীম আহম্মেদ এআরটি সেন্টার উদ্বোধন করেন।

রামেক হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানান, এখন থেকে এই সেন্টারে এইচআইভি পজিটিভ রোগীদের বিনামূল্যে পরীক্ষা ও চিকিৎসা প্রদান করা হবে। এতে করে এইচআইভি পজিটিভ রোগীদের বগুড়ার শজিমেক গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে না। রামেকের এই সেন্টার থেকে তারা ওষুধ পাবে। এআরটি সেন্টারের ফোকাল পার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ডা. ইবরাহীম মো. শরফ।

এর আগে গত ৫ নভেম্বর ‘রাজশাহীতে ১০ মাসে ২৮ জন এইচআইভি পজিটিভ, বাড়ছে উদ্বেগ’
শিরোনামে ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশিত হয়। রামেক হাসপাতালের আইটডোরে এইচটিসি সেন্টারে এইচআইভির জীবাণু পরীক্ষা করা হয়। তবে ওষুধের ব্যবস্থা নেই। রাজশাহী বিভাগে অন্য সব জেলায় পজিটিভ হওয়া রোগীদের চিকিৎসা নিতে হয় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) থেকে। সেখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হয়। 

এই সংবাদ প্রকাশের পর মূলত এইচআইভি রোগের চিকিৎসার বিষয়টি আলোচনায় আসে। এরপর রামেক হাসপাতালের বহির্বিভাগে এআরটি সেন্টার উদ্বোধন করা হলো। এখন থেকে রোগীরা বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পাবেন। 

ওই সংবাদে এইচআইভিতে আক্রান্তের বিষয়টি উঠে আসে। এতে বলা হয়- রাজশাহীতে ১০ মাসে ২৮ জন নারী-পুরুষসহ একজন হিজড়া এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে এইডসে মারা গেছেন একজন। আক্রান্তের বেশির ভাগ ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী। উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের এই আধিক্য উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কে বিশ্বাস বলেন, দুপুরে পরিচালক মহোদয় এআরটি সেন্টারের উদ্বোধন করেন। আপনার নিউজের পরে বিষয়টি আলোচনায় আসে। এখন থেকে আর রোগীদেরকে বগুড়ায় যেতে হবে না। এইচআইভির সব চিকিৎসা রাজশাহীতেই হবে।  

শাহিনুল আশিক/আরএআর