ঝড়ের সময় বিছানায় সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন লাল মিয়া। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভেঙে দেখেন, টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। মুহূর্তেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় ঘরবাড়ি। খোলা আকাশের নিচে পরিবার নিয়ে কেটেছে তার দিনরাত। এ নিয়ে জনপ্রিয় অনলাইন গণমাধ্যম ঢাকা পোস্টে গত ১২ অক্টোবর ‘পরিবার নিয়ে সাত দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে প্রতিবন্ধী লাল মিয়া’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ব্র্যাক অফিসের উদ্যোগে তাকে সহায়তা তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রীতম সাহা।

জানা যায়, প্রতিবন্ধী লাল মিয়া উপজেলার গাড়াগ্রাম পশ্চিম দলিরাম বানিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও দুই সন্তানের জনক। হঠাৎ ঝড়ে ঘর উড়ে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে তিনি খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছিলেন। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কোনো কাজ করতে পারেন না তিনি। তার স্ত্রী আনুফা বেগম স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করে পরিবার ও সন্তানদের পড়ালেখা চালান। তবে ঝড়ে সবকিছু নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর তাদের পক্ষে ঘর মেরামত করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশের পর ব্র্যাকের সহায়তায় লাল মিয়াকে একটি টিনের ঘর তৈরির সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রীতম সাহা বলেন, আমি গণমাধ্যমে বিষয়টি দেখার পরে ব্র্যাক কর্মকর্তাকে অবগত করি। তিনি তাদের দুর্যোগ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির আওতায় প্রতিবন্ধী লালমিয়াকে একটি টিনের ঘর করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এরই সঙ্গে দুলাল মিয়া নামে আরও এক ব্যক্তিকে সহায়তা দিয়েছেন। বিষয়টি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখভাল করেন।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি জানার পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ওই ব্যক্তিকে সহযোগিতার চেষ্টা করি। ব্র্যাকের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিকে সহায়তা করতে সক্ষম হয়েছি সেটি আমাদের জন্য আনন্দের। আমরা সবসময় সমাজের অসহায় মানুষদের পাশে থাকতে চাই।

এ সময় ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়ক আকতারুল ইসলাম, উপজেলা শাখা ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ ও ইমন মাহমুদ খান উপস্থিত ছিলেন।

এআরবি